* বিসিক উদ্যোক্তা ও একুশে বইমেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের টাইনহল ময়দানে এক মার্চ থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের উদ্যোগে—বিসিক উদ্যোক্তা ও একুশে বইমেলা। ১০ দিন ব্যাপি এ মেলা শেষ হবে আগামী ১০ মার্চ। জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য স্টল রাখা হয়েছিল ৫০টি। কিন্তু এত বেশি উদ্যোক্তা যে অনেকেই স্টল নিতে পারছিলেন না। তাদের এমন সমস্যা দূর ও উদ্যোক্তা পণ্য নানানভাবে ব্র্যান্ডিং করতে সারাদেশে কাজ করছে ইউএনডিপির উইং প্রজক্টের আনন্দমেলা।
যশোরেও আনন্দমেলা প্রায় ৩০ জন নারী উদ্যোক্তাকে একত্রিত করে মেলায় স্টল বরাদ্দের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ৩টি স্টল একত্রিত করে সারি সারিভাবে সাজিয়ে তারা পণ্যের ব্র্যন্ডিং, সেলস ও প্রোমোটিং করার সুযোগ পাচ্ছে। নারী উদ্যোক্তারা জেলার ঐতিহ্যবাহী যশোর স্টিচের থ্রি—পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি, শিশুদের ড্রেস, নকশীকাঁথা, আইটি পণ্যসহ বুটিক—বাটিকের হরেক রকম পণ্যের সমাহার রয়েছে মেলায়।
এছাড়াও মেলায় জেলার সম্ভাবনাময় হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, খেলনা সামগ্রী, কাঠের শো—পিচ, জুয়েলারি, নকশি পিঠা, মধু, খেজুরগুড়—পাটালিসহ বিভিন্ন ধরণের দেশজ পণ্য এবং জেলা কারাগার কর্তৃক উৎপাদিত বাঁশ—বেত—তাঁত নানান পণ্যের প্রদর্শন ও বিক্রয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। সেই সাথে বিনোদনের জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় চলছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলা শেষ হবে আগামী ১০ মার্চ।
আনন্দমেলা স্টলে মুক্তা কনসেপ্ট স্টোর এন্ড গার্মেন্টস, সাজিয়া সুলতানা মহুয়া ড্রেসি কর্ণার, ফারজানা বুটিক্স, আদরিয়েল কালেকশন, নিখাত স্টিজ হাইজ, ফেমাস ফ্যাশন, জলি'স ক্রিয়েশনস, ঝুমুর হস্তশিল্প এন্ড টেইলার্স, সুকন্যা, প্রিয়ভাষিনী, অহনা ফ্যাশান, শখের কারুকাজ, তৃনয় ক্রিয়েশন, বর্ণ আইটিসহ প্রায় ৩০ জন নারী উদ্যোক্তা তাদের পণ্যের পরসা বসিয়েছে।
আনন্দমেলা স্টলের মেফতাহুল জান্নাত, জলি শারমিন ও সাজিয়া সুলতানা মহুয়া বলেন, তারা খুব আনন্দিত আনন্দমেলায় একসাথে স্টলে বসে পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির সুযোগ পেয়ে। তাছাড়া অনেকের বাড়তি খরচও হয়ে যেত স্টল সাজানো বরাদ্দ নিতে হলে। এ জন্য মেলায় অন্যান্য স্টলের চেয়ে তাদের বিক্রিও যথেষ্ঠ ভালো ছিল। আগামীতেও এ ধরনের মেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেলে তারা হাত ছাড়া করবেন না বলে মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন যশোরের ভারপ্রাপ্ত উপ মহাব্যবস্থাপক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, তাদের এ মেলার মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে একটি সেতু বন্ধন করে দিতেই এই ধরনের উদ্যোগ। তাছাড়া যশোরের স্টিচের থ্রি—পিস, শাড়ি, পাঞ্জাবি, শিশুদের ড্রেস, নকশীকাঁথা, বুটিক—বাটিকের, খেজুরের গুড়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ গুলো আর একটু গুছিয়ে এক জায়গায় করেই তারা দেশের অর্থনীতে ভূমিকা রাখার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য তার। মেলায় সমাপনী হবে ১০ মার্চ সন্ধ্যায়।