বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি : ইতিহাসখ্যাত তে-ভাগা আন্দোলনের অগ্রপথিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি কমরেড অমল সেনের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশের বিপ্লবি কমিউনিস্ট লীগ।
কর্মসূচির শেষদিন বুধবার (১৮ জানুয়ারি) অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন বিকেলে বাকড়ী সরলা সিংহ মঞ্চে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশের বিপ্লবি কমিউনিস্টলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক কমরেড আব্দুস সাত্তার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গাজী নওশের আলী, মোজাম্মেল হোসেন খান ও তসলিম-উর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিথীকা বিশ্বাস, রণজিৎ বাওয়ালি, মঞ্জুরম্নল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্যা, সহকারী অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র অধিকারী।
প্রধান বক্তা সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক কমরেড আব্দুস সাত্তার বলেন, শাসকশ্রেণি রাজনীতির নামে কৃষকদের শোষণ করছে। এসব বাদ দিয়ে কৃষকদের সার-বীজ ও কৃষি প্রযুক্তি সহায়তা দিতে হবে। আমরা সবাই কৃষকের সন্তান। রাষ্ট্রীয় পাটকল চিনি কল চালু করতে হবে। বন্ধ করতে হবে বিদেশ থেকে চিনি আমদানি।
তিনি আরো বলেন, এদেশের কৃষকের দ্বারাই সব চাহিদা মেটানো সম্ভব।
কমরেড অমল সেন নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে আমাদের শিখিয়ে গেছেন কিভাবে একজন বর্গা চাষী তার পরিবারের সাথে প্রতারণা করছে। পরিবারের চাহিদা না মেটাতে পেরে সেই বর্গা চাষীকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। এদিকে অমল সেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলার শেষ দিন ছিল উপচেপড়া ভিড়।