সমাজের কথা ডেস্ক : রাতারাতি দাম দ্বিগুণ হওয়ায় রাজধানীসহ সারাদেশে মাঠে নেমেছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। প্রতিদিন চলছে পেঁয়াজ বাজারে অভিযান। আমদানির বিকল্প উৎস নিয়েও ভাবছে সরকার। পাশাপাশি নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে বাজারে। সরকারের এসব পদক্ষেপ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ সরবরাহের কারণে বাজারে মিলছে ইতিবাচক সাড়া। গত দু’দিনে কেজিতে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম।
এ ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এই অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ বেশি আমদানি হয়েছে। তাই ভারত রপ্তানি বন্ধ করলেও বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহে ঘাটতি নেই।
এ ছাড়া দেশি পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে। তার পরও প্রয়োজনে ভারত থেকে সরকার টু সরকার পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারিভাবে চীন, পাকিস্তান ও তুরস্ক থেকেও আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, কয়েক দিনের মধ্যে দাম কমে আসবে।
এদিকে ভারত রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। চীন ও পাকিস্তান থেকে গত দুই দিনে এসেছে ২২৬ টন পেঁয়াজ। এর মধ্যে সোমবার পাকিস্তান থেকে ৫৮ টন এবং রোববার চীন থেকে এসেছে ১৬৮ টন।
হঠাৎ লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে ভোক্তা—অধিকার সচেতনতাবিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভোক্তা অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সারাদেশে ১২২ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অধিদপ্তর ছাড়াও জেলা প্রশাসক ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরও মাঠে রয়েছে।