নিজস্ব প্রতিবেদক : পুলিশের অভিযানের খবর আগেই জেনে যাচ্ছে যশোর সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের নাশকতা ও সহিংসতা মামলার আসামিরা। ফলে অভিযানের আগেই আত্মগোপনে চলে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, ইছালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জের সাথে সখ্যতা গড়ে এই সুবিধা নিচ্ছেন ওই আসামিরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমান।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যশোর সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি নাশকতা, সহিংসতা ও নাশকতা পরিকল্পনার মামলার আসামিরা ইছালী ইউনিয়নের বাসিন্দা। এদের অনেকেই পলাতক রয়েছে। আবার কেউ কেউ জামিন নিয়ে ফের সহিংসতার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু পুলিশ অভিযান চালিয়েও এদের আটক করতে পারছে না।
সূত্রের অভিযোগ, ইছালী ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমানের সাথে নাশকতা মামলার ওইসব বিএনপি জামায়াতের ক্যাডারদের সখ্যতা রয়েছে। এ কারণে পুলিশের অভিযানের আগেই তারা খবর পেয়ে যায়। ফলে আত্মগোপনে যেতে তাদের কোনো অসুবিধা হয় না।
অভিযোগকারীদের দাবি, ইছালী ইউনিয়নের রাজাপুর জামতলা গ্রামের হাসান, সাবেক মেম্বর কামাল, নোঙরপুরের আশরাফুল ও তাহের, এক নম্বর ওয়ার্ডের মারুফ মেম্বার, ফুলবাড়ি গ্রামের আশরাফ, জোত রহিমপুর গ্রামের আশরাফুল, গাওঘরা গ্রামের আক্কাস মন্ডল, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাশিমপুরের লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফুলবাড়ি গ্রামের ইকরামুল ও ফুলবাড়ি গ্রামের রাজু’র সাথে ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমানের সখ্যতা রয়েছে। এরা নাশকতা, সহিংসতা ও নাশকতা পরিকল্পনার সাথে জড়িত এবং অনেকেই মামলার আসামি।
সূত্রের দাবি, এরা অবরোধের নামে এরা এলাকায় নাশকতা ও সহিংসতার চেষ্টাও করছে। এ কারণে থানা পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটকের চেষ্টাও করছে। কিন্তু অভিযানের তথ্য আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
অভিযোগের ব্যাপারে ইছালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমান দাবি করেন, অভিযোগের বিষয়টি সঠিক নয়। এরই মধ্যে নাশকতা, সহিংসতার অভিযোগে তিনি ১৫/১৬ জনকে আটক করেছেন। এছাড়াও যারা এসব ঘটনার সাথে জড়িত তাদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।