নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরের অভয়নগরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় আদালতে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা হয়েছে।
গতকাল বুধবার মামলাটি করেছেন অভয়নগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের তালতলা গ্রামের মহিরুল ইসলাম। তিনি আত্মহত্যা করা লাবণী আক্তার টুকুটুকির পিতা। মামলায় টুকটুকির স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য অভয়নগর থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, অভয়নগরের বাঘুটিয়া গ্রামের আলী হোসেন শেখ, তার স্ত্রী রহিমা বেগম, ছেলে রকি শেখ এবং মেয়ে লিমা বেগম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ কবীর হোসেন জনি।
বাদী মামলায় বলেছেন, ২০২০ সালে আসামি রকি শেখ পারিবারিকভাবে তার মেয়ে লাবণী আক্তার টুকুটুকিকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় আসামিদের যৌতুক হিসেবে আড়াই লাখ টাকা ও ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার গৃহস্থলী মালামাল দেয়া হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই আসামিরা যৌতুক দাবিতে টুকটুকির উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে।
সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে টুকটুকি নির্যাতন সহ্য করে স্বামীর সংসার করছিলেন। এরই মধ্যে টুকটুকির পিতা চাকরি থেকে অবসরে যান। জমি কিনবেন বলে পেনশনের টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে এনে দিতে বলেন আসামিরা।
পেনশনের টাকা পেলে আসামিদের দাবিকৃত টাকা এনে দিতে রাজি হয়েছিল টুকটুকি। চলতি বছরের ৩ ফেব্রæয়ারি আসামিরা যৌতুকের দাবিতে টুকটুকিকে মারপিট করে ঘরে আটকে রাখে। পরদিন সকালে ছেলে কেড়ে রেখে টুকটুকিকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে যৌতুকের টাকা ছাড়া বাড়ি ফিরতে নিষেধ করে।
টুকটুকি বাড়ি থেকে বের হয়ে আসামিদের প্ররোচনায় ক্ষোভে অপমানে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ না করায় তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন।