অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে ফরিদ গাজী (২৫) হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারী দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। হত্যাকা-ে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৬ জানুয়ারি) নিহতের ভাই ফারম্নক গাজী বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহত ফরিদ গাজী উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামে মসজিদে আরাফাত সংলগ্ন রেলব¯িত্মতে বসবাস করতেন। তিনি খুলনার কয়রা উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের মৃত আফিল উদ্দিন গাজীর ছেলে। আটক দুই হত্যাকারী হলেন, নড়াইল জেলার নড়াইল সদর উপজেলার যদুনাথপুর গ্রামের সাখাওয়াত মোল্যার ছেলে শাšত্ম (২১) ও তার বন্ধু একই গ্রামের ছবুর মোল্যার ছেলে সাকিব মোল্যা (২১)।
এ ব্যাপারে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে অভয়নগর থানায় যশোর জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পড়্গ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) মুকিত সরকার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ফরিদ গাজী হত্যার ১২ ঘন্টার মধ্যে দুই হত্যাকারীকে আটক ও হত্যাকা- ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দুই বন্ধুর হাতে খুন হয় ফরিদ গাজী।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুই যুবক ফরিদ হত্যাকা-ের সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নিহত ফরিদের সঙ্গে জেল খানায় প্রথম পরিচয় হয় শাšত্মর। সেখানে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে জামিনে বেরিয়ে আসে তারা। ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ফরিদের ডাকে কাজের সন্ধানে নড়াইল থেকে অভয়নগরে আসে শাšত্ম ও তার বন্ধু সাকিব। এদিন তারা তিন বন্ধু মিলে উপজেলার নর্থ-বেঙ্গল এলাকায় একটি রম্নম ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে এবং জাহাজের স্কট হিসেবে কাজ শুরম্ন করে।
এরপর স্কট হিসেবে শাšত্ম ও সাকিবের উপার্জিত টাকা তাদের হাতে না দিয়ে ফরিদ নিজের কাছে রাখতে শুরম্ন করে। শাšত্ম ও সাকিব তাদের উপার্জিত টাকা ফরিদের কাছে চাইলে সে জানায় হোটেলের খাওয়া বাবাদ কেটে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিত-া শুরম্ন হয়। এক পর্যায়ে গত শনিবার (১৪ জানুয়ারি) হত্যাকারী শাšত্ম ও সাকিব স্যালো মেশিন চুরির প্রলোভন দেখিয়ে ফরিদকে ভৈরব সেতু সংলগ্ন দেয়াপাড়া গ্রামে সাহারা গ্রম্নপের সরিষা ড়্গেেত ডেকে নিয়ে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় শাšত্ম ও সাকিব একটি বার্মিজ চাকু দিয়ে ফরিদকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। হত্যাকাজে ব্যবহৃত চাকুটি বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের পাশে মাটিতে পুঁতে রাখে এবং রক্ত মাখা কাপড়গুলো ভৈরব নদীতে ফেলে দেয়।
মামলার তদšত্মকারী কর্মকর্তা অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান জানান, অভয়নগর থানা ও যশোর ডিপি পুলিশের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ফরিদের হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে নর্থবেঙ্গল এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাšত্ম ও সাকিবকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকাজে ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ভৈরব সেতু সংলগ্ন শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দড়্গণি দেয়াপাড়া গ্রামে সাহারা গ্রম্নপের সরিষা ড়্গতে থেকে ফরিদ গাজীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।