সমাজের কথা ডেস্ক : অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে দ্বিতীয় ত্রাণ বহর। এবারের বহরে ছিল ১৪টি ত্রাণবাহী ট্রাক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত ৭ অক্টোবর শনিবার ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামলা চালায় মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা রকেট ও বোমা হামলা করে ইসরায়েলের বাহিনী। গাজা উপত্যকার নাগরিকরা আতঙ্কে ঘর ছাড়তে শুরু করেন। এরই মধ্যে গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎসহ খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহও বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
সংঘাত শুরুর পর প্রায় ১৪ দিন পানি ও জ্বালানি প্রবেশ করেনি গাজায়। তীব্র মানবিক সংকটে আছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। রাফাহ সীমান্তে এসেও ত্রাণবাহী ট্রাক আটকেছিল কূটনৈতিক জটিলতার কারণে। অবশেষে ২১ অক্টোবর শনিবার সেই ট্রাক ঢুকে। সেই বহরে ছিল ২০টি ট্রাক।
<< আরও পড়তে পারেন >> অবশেষে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করল ত্রাণবাহী ট্রাক
এবার দ্বিতীয় দফায় গাজায় প্রবেশ করলো ত্রাণের বহর। জাতিসংঘের মানবিক সম্পর্ক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, দ্বিতীয় দফায় ত্রাণবাহী ১৪টি ট্রাকের একটি বহর গাজায় প্রবেশ করেছে। তিনি এই পদক্ষেপকে ওই এলাকায় বসবাসরতদের জন্য 'ছোট একটি আশার আলো' বলে অভিহিত করেছেন।
<< আরও পড়তে পারেন >> যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করার পর জানিয়েছেন, তারা দুজনই একমত হয়েছেন যে, ‘ফিলিস্তিনিদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই ত্রাণের সরবরাহ এখন থেকে চলমান থাকবে।’
অক্সফামের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান ম্যাগনাস করফিক্সেন বলেন, প্রতিদিন কয়েকটি ট্রাককে ঢুকতে দেওয়াটা মোটেই পর্যাপ্ত নয় এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর গাজায় ‘অবাধ প্রবেশাধিকার’ প্রয়োজন।
ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতামার বেন—গিভির বলেন, হামাস যদি তাদের হাতে আটক সব জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি না হয়, তাহলে ওই এলাকায় “ত্রাণ সরবরাহ চলমান” রাখার কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইতালির নেতারা ইসরায়েলের ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নিজের প্রতিরক্ষার অধিকারকে’ সমর্থন জানিয়েছেন।