সমাজের কথা ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখতে পারবেন কি না তা নিয়ে গর্ভবতী নারীরা অনেক চিন্তিত থাকেন।কারণ, গর্ভস্থ শিশুর মেধা বিকাশ ও বেড়ে ওঠা অনেকাংশে নির্ভর করে হবু মায়ের সঠিক পুষ্টিপ্রাপ্তির ওপর। ইসলাম ধর্মে অবশ্য গর্ভবতী নারীর রোজা রাখার ওপর শিথিলতা রয়েছে।
ইউনাইটেড হসপিটালের গাইনোকলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. পলি আহমেদ আহমেদ বলেছেন, ‘ইসলামিক স্কলারদের মতানুযায়ী রোজা রাখার ব্যাপারে গর্ভবতীদের কোনো নিষেধাজ্ঞা বা বাধ্যবাধকতা নেই। যদি কোনো গর্ভবতী নারী ফিজিক্যালি ও মেন্টালি ফিট থাকে তাহলে সে রোজা রাখতে পারবে।’
তবে এ বিষয়ে একজন কনসালটেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, রোজা রাখার ব্যাপারে দুটি বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে তা হলো— প্রথমত, প্রেগনেন্সির কোন পর্যায়ে আছেন? দ্বিতীয়ত, তার অ্যাসেসিয়েটেট কোনো রিস্ক ফ্যাক্টর আছে কি না।
তিনি বলেন, প্রেগনেন্সির প্রথম পর্যায়ে সাধারণত বাচ্চাদের বৃদ্ধি হয়। এ সময় নানা শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময় রোজা না রাখাই ভালো। আর যদি তার ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যানিমিয়ার মতো সমস্যা থাকে তাহলে বিভিন্ন জটিলতা আসতে পারে। সে ক্ষেত্রেও রোজা না রাখাই ভালো।
তিনি আরও বলেন, গর্ভবতী নারীরা যদি রোজা রাখেন তাহলে তাদের অবশ্যই শান্ত, ধিরস্থির হতে হবে। তাদের পারিপার্শ্বিক সব কাজের মধ্যে ব্যালেন্স রাখতে হবে। এ ছাড়া তাদের খাদ্যতালিকার দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এ ক্ষেত্রে রোজা থাকলে চাইলে গর্ভবতী নারীদের করণীয় সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন ডা. পলি আহমেদ আহমেদ। তার কথাগুলো তুলে ধরা হলো দৈনিক আমাদের সময়’র ভিডিওতে।