নিজস্ব প্রতিবেদক : অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ প্রত্যাহারের দাবিতে যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তিন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সংগঠনগুলো হচ্ছে, যশোর জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদ, ট্রাক, ট্রাক্টটর, কাভার্ডভ্যান ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন ও শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
স্মারকলিপিতে উলে¬খ করা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল জাতীয় সংসদে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল-২০২৩ উত্থাপন করা হয়েছে। যদিও এই বিলে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বলতে ১৮ সেক্টরকে উলে¬খ করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানত লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে পরিবহণ খাতকে। ফলে পরিবহন খাতের শ্রমিকদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, যে তাদের উপর কাজের চাপ, নিপীড়ন ও বঞ্চনা আরো বাড়তে পারে। কিন্তু প্রতিবাদ করার কোন সুযোগ থাকবে না।
এই অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল আইনে পরিণত হলে তা শ্রম আইনকে অকার্যকর করে ফেলবে। কারণ শ্রম আইনের ২০৯ ধারায় শিল্প বিরোধ উত্থাপন ২১০ ধারায় শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান আছে। বিরোধ নিষ্পত্তির সকল পথ বন্ধ হয়ে গেলে ২১১ ধারায় ধর্মঘটের বিধান এবং পদ্ধতির উল্লেখ করা আছে। ফলে এই বিল আইনে পরিণত মহলে শ্রম আইনে ধর্মঘটের যতটুকু আইন সংগত অধিকার আছে, সেটাও বাস্তবে কেড়ে নেয়া হবে।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু, সহ-সভাপতি, আবু হাসান, রবিউল ইসলাম লবিন, যুগ্ম-সম্পাদক ষষ্টি কুমার দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক হাররুন অর রশিদ ফুলু, ট্রাক ট্রাক্টর কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি খায়রুল ইসলাম লাল্টু, সাধারণ সম্পাদক নাজিম হোসেন বাহাদুরসহ নেতৃবৃন্দ এবং জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান মজনুুসহ নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপি প্রদানের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলে কিছু সাংঘর্ষিক ধারা রয়েছে যেগুলো জামিনযোগ্য নয়। তাই ধারাগুলো রেখে বিল পাস করা হলে মোটর শ্রমিকরা বিপাকে পড়বে। তাই ধারাগুলো বাতিল করে বিল পাস করার দাবি জানানো হয়।