সমাজের কথা ডেস্ক : সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিমান হামলায় ১২ জন ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে, তা এখনো অজানা। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
সংস্থাটি বলেছে, ‘অজ্ঞাত উৎস’ থেকে সিরিয়ার দেইর এজ-জোর শহর ও এর পূর্বাঞ্চল এবং ইরাকের সীমান্তবর্তী বোকামাল অঞ্চলে সামরিক অবস্থানগুলোতে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ১২ জন ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
দেইর এজ-জোর বিমানবন্দরের কাছেও পাঁচটি সামরিক অবস্থানে হামলা চালানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষক সংস্থাটি।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে ইরান। অন্যদিকে, ইসরায়েল ইরানপন্থি গোষ্ঠীগুলোকে নিশানা করে সিরিয়ায় শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রও ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে লক্ষ্য করে বহুবার হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েল সাধারণত সিরিয়ায় হামলাগুলোর বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করে না। তবে তারা একাধিকবার জানিয়েছে, ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতি বাড়তে দেবে না।
সম্প্রতি ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অবস্থানগুলোতে তীব্র বোমা হামলা চালিয়েছে। এটি একটি বৃহত্তর আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, সিরিয়া-লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর অস্ত্র সরবরাহের রুটগুলোকে লক্ষ্য করে বহুবার হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
সূত্র: এএফপি