ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
হলুদ হলুদ হলুদ
নয় সে হিমু বসন্ত তাই
আনন্দেতে বুদ।
খোপায় গাঁদাফুল
শাড়ি পরে যায় তরুণী
কানে সোনার দুল।
ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
‘মধু' ভেবে ছেলে বুড়ো
খাচ্ছি আকরিক,
গরুর দুধে মিলছে যে ‘বিষ’
এন্টিবায়োটিক।
ভেজাল ও বিষ খাচ্ছে গরু
পড়ছে প্রভাব দুধে,
খাচ্ছি আমরা সবাই মিলে
ক্ষতি আসল-সুদে।
ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
বরণ ঢালা নাও সাজিয়ে
ফুলে ফুলে, উৎসবে,
বাঁশির সুরে আসলো ঘুরে
ফাল্গুনী সাজ তার রবে।
বাসন্তিরঙ শাড়ি পরে
খোঁপায় হলুদফুল সাজে
বাঙালিসাজ সেজে চলো
বসন্তদিন এর মাঝে।
ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
আমার দেশে ফোটেরে ফুল
বাজে গাছে ঝুমঝুমি
মাটি মা তোর চরণ আমি
সন্ধ্যা-সকাল তাই চুমি।
এমন সোনার রোদগালিচা
কোথায় পাবো? এই ভূমি
বলতে পারো আর পাবে কি
ভূবন মাঝে আর তুমি?
ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
ভাষার জন্য এই মাসেতেই
শক্ত করে শির,
বুকের রক্ত দিয়েছিলো
মহানতম বীর।
ফেব্রুয়ারি, ফেব্রুয়ারি
জাগো তুমি আবার
আবোল তাবোল কথা-ভাষায়
খুন হবে আর ক'বার?
ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
ফেব্রুয়ারি মানে ভাষা
তোমার আমার কথার মালা
রক্তবিধুর শহীদবুকে
বিপ্লবী ফ্রেম আশার জ্বালা।
ফেব্রুয়ারি এলেই পরে
ভাসতে থাকে সেই জ্বলুনি
মনে মনে শব্দমালা
শব্দ কথা কয় তখুনি।
ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
জমজমাট ওই ব্যাটের লড়াই
বিপিএলের মাঠে
কেউবা জিতে নাচছে দেখো
কারো হৃদয় ফাটে।
কুমিল্লার ওই ভিক্টোরিনাস
জিতলো শেষে কাপ
শেষ হাসিটা হাসলো তামিম
উৎতরে সকল চাপ।
ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
সত্যন্যায়ের ওই পতাকা
তোর মুখে তোর বুকে
উড়তে থাকুক যত্নে পরম
ঘুরতে থাকুক সুখে।
আনন্দে আর গানে গানে
কণ্ঠ ভরে থাকুক
অ আ ক খ’র সেই দুলুনী
মনে মনে জাগুক।
ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
পাচ্ছেন যারা একুশে পদক
তাদের জন্য শুভেচ্ছা
অনুসরণ করতে হবে
পেতে যাদের খুব ইচ্ছা।
অভিনন্দন শব্দসাধক
কলমকথার মনের জন,
আসুক উঠে প্রাণটা ভরে
আবার একুশ মানস-ক্ষণ।
ছন্দকথা প্রতিদিন – সৈয়দ আহসান কবীর
দোয়েল পাখির মিষ্টি সুরে
দুষ্টু সোনা উড়ে উড়ে
ফুলপরিদের সাথে ঘুরে
যাদুর দেশে যায়,
ময়না-টিয়ার কথায় চড়ে
ইচিং-বিচিং খেলা করে
হাস্যসুখে মনটি ভরে
খুশির বেলা বায়।